প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বন্দর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
সভাপতির বাণী
শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় । বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি এর গুনগত মান নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্ব বহন করে। আমাদের দেশে শিক্ষার আকাঙ্ক্ষা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও, এর মান উন্নয়নে এখনও অনেক কাজ বাকী আছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, পিতা-মাতা, অভিভাবক সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আমরা জানি, শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাক্রমকে কেবল পঠনীয় বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। বিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষার্থীর সকল অভিজ্ঞতার যোগফলই হলো প্রকৃত শিক্ষাক্রম। শ্রেণীকক্ষে, খেলার মাঠে, লাইব্রেরিতে, গবেষণাগারে, প্রদর্শনীতে শিশুরা পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান ও সংযোগের মাধ্যমে যে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার সবগুলোই শিক্ষাক্রমের উপাদান। ফলে পাঠক্রমের বাহিরে আমাদেরকে কারিকুলাম বহির্ভুত জ্ঞানের দিকেও অধিক মনোনিবেশ করতে হবে।
যেহেতু শিক্ষা একটি গতিশীল বিষয়, সেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের এই যুগে এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা আধুনিকীকরণ অপরিহার্য। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চলমান অগ্রগতি ও প্রয়োগের অভিজ্ঞতা শিক্ষানীতিকে অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ করবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের মিশন-ভিশনের দিকে নজর রেখে প্রতিষ্ঠানটির পাঠ্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। বিশেষ করে সকলের জন্য শিক্ষা এবং প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপক অনুশীলনের ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
গুনগতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা অর্জন করে নতুন প্রজন্ম যাতে নিজেদের দক্ষ মানবসম্পদে উন্নীত করতে পারে এবং দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও পশ্চাৎপদতার অবসান ঘটিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আদর্শে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিস্ফুটন এবং মানবীয় গুণাবলী বিকাশে এ প্রতিষ্ঠানের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
সর্বোপরি, আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষা ও জ্ঞানে দক্ষ, যোগ্য এবং একই সাথে নৈতিক মূল্যবোধ, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়বদ্ধ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি। এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
অধ্যক্ষের বাণী
একটি আধুনিক মান সম্মত শিক্ষিত জাতি বিনির্মানে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষার রস ও মার্ধুয নিয়ে প্রতিটি মানুষ যখন নিজেকে সঠিক কাজে উৎর্সগ করে তখন জাতির কল্যাণ নিশ্চিত হয়। আবার শিক্ষালাভের মধ্য দিয়ে মানুষ জ্ঞান অর্জন করে এবং অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সে সত্য আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।
অত্র মাদ্রাসা টি শুরু থেকেই শিক্ষার গুনগত মানকে সমুন্নত করে আসছে। দক্ষ গভর্নিংবডির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অভিজ্ঞ, সৃজনশীল, উদ্যমী ও ত্যাগী শিক্ষক-শিক্ষিকার পরিচর্যায় তৈরি হচ্ছে অসীম জ্ঞানের এক নিকুঞ্জ। আর তা থেকে বের হয়ে আসছে এক আত্মবিশ্বাসী জাতি। ভর্তি প্রক্রিয়া, ফলাফল তৈরী ও প্রকাশ, বিশেষ করে শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে রয়েছে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি।
আমাদের মাদ্রাসা ওয়েবসাইট টি সকল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারন মানুষের জন্য রয়েছে উন্মুক্ত। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সুন্দর জীবন কামনা করছি।